Duck hunt
auntimnews
Musicপ্রচ্ছদরাজনীতিপরিবেশঅর্থনীতি আন্তজার্তিকবিজ্ঞানপ্রযুক্তিখেলাশিক্ষা বিনোদনস্বাস্থ্যশিল্প ও সাহিত্যলাইফস্টাইলফটো গ্যালারিরেজাল্ট
অর্থনীতি সংবাদ

ইউরোপজুড়ে চলমান অর্থনৈতিকমন্দা কাটাতে ও প্রবৃদ্ধি

ইউরোপজুড়ে চলমান অর্থনৈতিকমন্দা কাটাতে ও প্রবৃদ্ধি
১ লাখ ১০ হাজার কোটি ইউরোর একটি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি)। এই অর্থ ১ লাখ ২০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের সমান। বহুপ্রতীক্ষিত এই প্যাকেজের আওতায় ইউরোপের কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি ৬ হাজার কোটি ডলারের সরকারি- বেসরকারি বন্ড কিনবে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের মেয়াদ ধরা হয়েছে। ইসিবি এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসিবি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর সব কেন্দ্রীয় ব্যাংক মিলে ‘কোয়ান্টিটেটিভ ইজিং’ কার্যক্রমের আওতায় সরকারিভাবে বন্ড কিনতে শুরু করেছে। জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংক বুন্দেসব্যাংকের একজন মুখপাত্র বন্ড ক্রয় কার্যক্রম শুরু করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কোয়ান্টিটেটিভ ইজিং হলো একটি বিশেষ মুদ্রা ব্যবস্থাপনা নীতি। যখন কোনো দেশের প্রচলিত মুদ্রানীতি ভালো করে না, তখন ওই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে সরকারি বন্ড বা শেয়ার কিনে নিয়ে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। সাধারণত ব্যাংকঋণের সুদহার কমাতে এ নীতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর ফলে বাজারব্যবস্থায় বাড়তি অর্থের সরবরাহ বাড়ে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতির সঞ্চার হয়। সরকারি-বেসরকারি পর্যায় থেকে কত টাকার বন্ড কেনা হবে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট পরিমাণ এখনো প্রকাশ করেনি ইসিবি। ইউরো জোন বা অঞ্চলভুক্ত ১৯টি দেশে একযোগে এ কার্যক্রম চলবে। ইউরো অঞ্চলের দেশগুলো একক মুদ্রা হিসেবে ইউরো ব্যবহার করে থাকে। ইউরোপের দেশগুলোর অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এখন এতটাই নাজুক যে ‘ডিফ্লেশন’ পর্যায়ে চলে যাওয়া, অর্থাৎ ব্যাপক হারে পণ্যের মূল্য কমার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা। মূল্যস্ফীতির সম্পূর্ণ বিপরীত পরিস্থিতি হলো ডিফ্লেশন। বাজারব্যবস্থায় অর্থ সরবরাহ কমে গেলে এ পরিস্থিতি দেখা দেয়। এ সময় বিনিয়োগ স্থবির হওয়ার পাশাপাশি বেকারত্ব বেড়ে যায়। ইসিবির কোয়ান্টিটেটিভ ইজিং উদ্যোগের ফলে ইউরো অঞ্চলের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মন্দা পরিস্থিতি কাটাতে ইসিবির উদ্যোগকে এর আগে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ ও যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নেওয়া পদক্ষেপের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। তবে কয়েকজন বিশ্লেষক মনে করেন, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের এ উদ্যোগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে সফল হয়েছে, ইউরোপে ততটা সফল না-ও হতে পারে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, নতুন এই নীতি ইউরোপের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার-প্রক্রিয়াকে কতটা সাফল্য এনে দেবে, সেটা নিয়ে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ আছে। বিশেষ করে শ্রমবাজারের বেকারত্ব পরিস্থিতির উন্নতিতে এ প্রক্রিয়া বিশেষ কোনো ভূমিকা রাখবে বলে মনে হয় না। তবে ইসিবির প্রেসিডেন্ট মারিও দ্রাঘি এমন আশঙ্কা নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, ‘ইতিমধ্যেই আমাদের নেওয়া পদক্ষেপের ইতিবাচক প্রভাব মুদ্রানীতিতে পড়তে শুরু করেছে।’ ইউরোপের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির ঊর্ধ্বগতি মারিও দ্রাঘির এ আশাবাদকে সমর্থন দিচ্ছে। চলতি বছরের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইসিবি। প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, এ প্রবৃদ্ধি আগামী বছরে বেড়ে ১ দশমিক ৯ শতাংশ ও ২০১৭ সালে তা আরও বেড়ে ২ দশমিক ১ শতাংশ দাঁড়াতে পারে। নিজস্বপ্রতিবেদকঃ ২৪নিউজ মোবি
Back to posts
This post has no comments - be the first one!

UNDER MAINTENANCE
PicsArt 1427045106772 2PicsArt 1427045106772 3Images 2ডাউনলোড ২৪নিউজ অ্যাপস