বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের
ছয়টি শাখা থেকে জামানত ছাড়াই
অনিয়মের মাধ্যমে ৬২১ কোটি ৪৬
লাখ টাকা ঋণের নামে আত্মসাতের
অভিযোগ
থেকে সবাইকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়
সম্প্রতি নথিভুক্তির মাধ্যমে এ
অভিযোগ নিষ্পত্তি (অব্যাহতি)
করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ
ব্যাংকের পরিদর্শনে ঋণ
জালিয়াতির বিষয়টি উঠে আসায়
২০১২ সালের শেষ
দিকে অভিযোগটি আমলে নিয়ে অনু
অভিযোগ অনুসন্ধানে ২০১২ সালের ৩
নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক
জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে পাঁচ
সদস্যের দল গঠন করে দুদক।
পরে দলনেতা পরিবর্তন
করে উপপরিচালক মো. মফিদুল
ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সূত্রটি জানায়, ইফাদ মাল্টি-
প্রোডাক্টস লিমিটেড, ইফাদ
এন্টারপ্রাইজ, পদ্মা ফেব্রিকস ও
মেসার্স পদ্মা ব্লিচিং অ্যান্ড
ডাইং লিমিটেড, মেসার্স ফেয়ার
ইয়ার্ন প্রসেসিংসহ বেশ
কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ওই
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল।
কৃষি ব্যাংকের কারওয়ান বাজার
করপোরেট শাখা, বনানী করপোরেট
শাখা, লোকাল প্রিন্সিপাল অফিস,
চট্টগ্রাম করপোরেট শাখা, আগ্রাবাদ
ও কুষ্টিয়া শাখার ওপর পরিদর্শন
চালিয়ে এসব আর্থিক অনিয়ম বের
করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ঋণ গ্রহণকারী প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ও
ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় দুই
বছরের বেশি সময় ধরে অনুসন্ধান
চালায় দুদক। কৃষি ব্যাংক
এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ৫০-
এর বেশি কর্মকর্তা-
কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ
করে নথিপত্র পর্যালোচনা করে ঋণ
জালিয়াতির কোনো তথ্যপ্রমাণ
না পাওয়ায় কমিশন এ অভিযোগ
নথিভুক্তির
মাধ্যমে নিষ্পত্তি ।
প্রতিবেদকঃ মিরাজুল।গাজীপুর সহকর্মী।