ব্যবসাবান্ধব ও জনবান্ধব বাজেট প্রণয়নের তাগিদ রয়েছে

ব্যবসাবান্ধব ও জনবান্ধব বাজেট
প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছেন
চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম
চেম্বারের আয়োজনে গতকাল
বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত
প্রাক্বাজেট মতবিনিময় সভায়
ব্যবসায়ীরা এ তাগিদ দেন।
ব্যবসায়ীরা চোরাচালান বন্ধে
মসলাজাতীয় পণ্যের সম্পূরক ও
নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কহার প্রত্যাহার করা,
সব শুল্ক স্টেশনে একই পণ্যের শুল্কায়িত
মূল্য একই রকম নির্ধারণ করা, আয়কর
নিরীক্ষার নামে হয়রানি বন্ধ করা,
শুল্ক, আয়কর ও মূল্য সংযোজন কর
প্রদানের প্রক্রিয়া সহজীকরণের
প্রস্তাব দেন।
এ ছাড়া চেম্বারের পক্ষ থেকে
১৪৩টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এগুলো
হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতির কারণে ব্যক্তিগত
করমুক্ত আয়ের সীমা ২ লাখ ৭৫ হাজার
টাকা নির্ধারণ, করদাতাদের
উৎসাহিত করতে মূল্য সংযোজন কর-
মূসকের বর্তমান হার ১৫ থেকে কমিয়ে
সাড়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ, দেশে
উৎপাদিত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে
বিএসটিআই প্রত্যয়নপত্র বাধ্যতামূলক
করা, ইস্পাতশিল্পের কাঁচামাল
বিলেট আমদানির ক্ষেত্রে নানা
ধরনের কর বৃদ্ধি না করা ইত্যাদি।
চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলমের
সভাপতিত্বে গতকালের মতবিনিময়
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজস্ব
বোর্ড-এনবিআরের চেয়ারম্যান মো.
নজিবুর রহমান। এনবিআর সদস্য ফরিদ
উদ্দিন, এনায়েত হোসেন, পারভেজ
ইকবালসহ ২৫ জন ব্যবসায়ী এতে বক্তব্য
দেন।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল
আলম বলেন, অর্থবছরের প্রথম তিন
মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার
কারণে বেসরকারি খাত ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে। ফলে এই বছরের এক-চতুর্থাংশ
সময় দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড
ভয়াবহ পরিস্থিতি পার করেছে।
ব্যবসায়ীদের নাজুক অবস্থায় ফেলে
দিয়েছে ব্যাংকঋণের সুদের হার,
কাঁচামাল ও পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত
ব্যয়। আগামী অর্থবছরের বাজেট
প্রণয়নের ক্ষেত্রে এসব বিষয়
বিবেচনায় রাখার আহ্বান জানান
তিনি।
বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি নাছির
উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন,
‘কারখানায় কর্ম-সহায়ক পরিবেশ
নিশ্চিত করতে নানা যন্ত্রপাতি ও
সরঞ্জাম আমদানি করতে হচ্ছে
রপ্তানিমুখী পোশাক খাতে। এসব পণ্য
আমদানিতে শুল্ক না থাকলেও মূসক ও
অগ্রিম আয়কর বা এআইটি আরোপ করা
হচ্ছে। এটা আমাদের পক্ষে বহন করা
দুঃসাধ্য।’ এ ছাড়া কর প্রদান
সহজীকরণসহ ব্যবসাবান্ধব ও জনবান্ধব
বাজেট প্রণয়নের জন্য আহ্বান জানান
তিনি।
Created at 2015-05-08 07:48:45
Back to posts
UNDER MAINTENANCE