নিজেদের সুবিধায়আইনের সংশোধন চায়পুলিশ
নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ)
আইন সংশোধনের প্রস্তাব
দিয়েছে পুলিশ। তারা নিজেদের
সুবিধার্থে এ আইনের সংজ্ঞা ও তদন্ত
কার্যক্রমে পরিবর্তন,
সাজা কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রস্তাবটিত
অধিকাংশ ধারার পরিবর্তন ও
বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।
নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর,
অমানবিক অথবা অমর্যাদাকর আচরণ
অথবা শাস্তির বিরুদ্ধে জাতিসংঘ
সনদের কার্যকারিতা দিতে এ আইন
করা হয়েছিল।
পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের
শিকার আওয়ামী লীগের সাংসদ
সাবের হোসেন চৌধুরী ২০০৯
সালে জাতীয়
সংসদে বেসরকারি বিল
হিসেবে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু
(নিবারণ) বিল উত্থাপন করেছিলেন।
অনেক যাচাই-বাছাই শেষে ২০১৩
সালে বিলটি সংসদে পাস হয়।
২০টি ধারা-সংবলিত এ আইনে আইন
প্রয়োগকারী সংস্থাসহ অন্য সব
ধরনের সরকারি হেফাজতে নির্যাতন
ও হত্যার শাস্তি এবং বিচারের
প্রক্রিয়া বর্ণিত হয়েছে।
কিন্তু দুই বছর পর যখন
সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের
নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও
‘বন্দুকযুদ্ধে’ মৃত্যুর ঘটনা এবং নির্যাতন ও
হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ বাড়ছে,
তখন এ আইনের ১৪টি ধারা ও উপধারায়
সংশোধনী চাইছে পুলিশ।
সাতটি ধারা বিলুপ্ত ও এ কটি নতুন
ধারা সংযুক্ত করার সুপারিশ
করা হয়েছে।
আইন সংশোধনের
প্রস্তাবটি সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তর
থেকে স্বরাষ্ট্রসচিবের
কাছে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের
মহাপরিদর্শকের (আইজিপি)
পক্ষে চিঠিটি পাঠান
সহকারী মহাপরিদর্শক প্রলয় কুমার
জোয়ারদার। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক
এবং আইন শাখা এ নিয়ে কাজও শুরু
করেছে। এ বিষয়ে মতামত
তৈরি করা হচ্ছে। সংশোধনের জন্য
এটি প্রথমে আইন
মন্ত্রণালয়ে এবং পরে অনুমোদনের
জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে।
পুলিশের বেআইনি আচরণ, অত্যাচার-
নির্যাতন থেকে রক্ষায় এই বিল
আনা হলেও এখন পুলিশ নিজেদের
মতো করে আইনটির
সংশোধনী চাইছে বলে মন্তব্য
করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
কয়েকজন কর্মকর্তা।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নির্যাতন ও
হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের
ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিন
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার
বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অবারিত
সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং
প্রয়োগকারী বিভিন্ন বেসামরিক
সংস্থার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন
এর ফলে বাধাগ্রস্ত হবে। এ আইনের
কারণে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক
অস্থিতিশীলতা, হরতাল, অবরোধ,
বিক্ষোভ, অগ্নিসংযোগ
ইত্যাদি ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম
থেকে জনসাধারণের জানমাল
রক্ষায়
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর
কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার
ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হওয়ার
সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে রাষ্ট্রীয়
শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা হুমকির
মুখে পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
Created at 2015-03-04 15:48:27
Back to posts
UNDER MAINTENANCE