নাশকতার ১০০মামলা সন্ত্রাসবিরোধ
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির
নির্বাচনের আগে ও
পরে রাজনৈতিক সহিংসতা ও
নাশকতার ঘটনায় করা প্রায় ১০০
মামলা সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নে
পূর্বানুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত
জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ও
ফেব্রুয়ারিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
এসব অনুমোদন দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন শাখার
সূত্র জানায়, এসব মামলায় আসামি এক
হাজারের বেশি। আসামিদের
বেশির ভাগই বিএনপি ও
জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন
পর্যায়ের নেতা-কর্মী। এ
ছাড়া চলমান সহিংসতা ও নাশকতার
ঘটনার সব মামলাও সন্ত্রাসবিরোধী
আইনে নিতে অনুমোদন দেওয়ার জন্য
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর
কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ আইনে নাশকতার জন্য অর্থের
জোগানদাতাদেরও বিচার
করা যাবে।
এ অনুমোদনের
বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র
প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান
কামাল গতকাল রোববার প্রথম
আলোকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর
নির্দেশেই আমরা দুর্বৃত্তদের
বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ম
অনুমোদন দিচ্ছি। এ
আইনে মামলা নেওয়ার উদ্দেশ্য
হলো আসামিরা যাতে জামিন
না পায় এবং ৬০ দিনের মধ্যেই
বিচার শেষ হয়। সম্প্রতি যেসব
নাশকতার ঘটনা ঘটছে, এর অধিকাংশই
এ আইনে নিতে বলা হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন
দেওয়া মামলাগুলোর প্রজ্ঞাপন
পর্যালোচনায় দেখা গেছে,
মানবতাবিরোধী অপরাধের
মামলার রায়কে কেন্দ্র
করে সহিংসতা, অন্যান্য সহিংসতা,
বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর,
জননিরাপত্তা বিঘ্ন করা, বিএনপি ও
জামায়াত-সমর্থিত ব্যক্তিদের
সন্ত্রাসী কার্যকলাপ,
পেট্রলবোমা তৈরি ইত্যাদি ঘটনায়
নোয়াখালী, কুমিল্লা, দিনাজপুর,
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চাঁদপুর,
নীলফামারীসহ বিভিন্ন জেলায় এসব
মামলা হয়েছিল।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ৫ জানুয়ারির
নির্বাচনের আগে বিএনপি-
জামায়াত জোটের সহিংসতার
ঘটনায়
করা মামলাগুলো সন্ত্রাসবিরোধ
জন্য বিভিন্ন
জেলা থেকে এখনো আবেদন
পাঠানো হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের
কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, গত এক বছর
পুলিশ এ
আইনে মামলা নিতে আগ্রহী ছিল
না। তবে চলমান সহিংসতার
কারণে বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ে
পর এ আইনে মামলার অনুমোদন
দেওয়া শুরু হয়। এ পর্যন্ত প্রায় ১০০
মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তাঁদের মতে,
সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) আইন,
২০১৩-তে এ আইনে মামলার জন্য
জেলা প্রশাসকের অনুমতির
বিষয়টি (৪০ ধারা) বাদ দেওয়ায়
পুলিশ সহজে এ মামলা করতে পারবে।
এর ফলে নিরীহ মানুষও হয়রানির
শিকার হতে পারেন।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের
সংজ্ঞা ও শাস্তি সম্পর্কে গত ৬
ফেব্রুয়ারি একটি তথ্যবিবরণী দেওয়
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের
মামলা জামিন অযোগ্য। এ আইনের
মামলার বিচার হবে কম
সময়ে এবং সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
২০১৩ সালের
সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) আইনের
৪০(১) ধারায় সংশোধনী আনা হয়।
সংশোধনীতে বলা হয়, এ আইনের
অধীনের অপরাধ সংশ্লিষ্ট পুলিশ
কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট
জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত
করে মামলা করে তদন্ত শুরু
করতে পারবেন।
এ আইনের ২১ ধারায় বলা হয়েছে,
কোনো সন্ত্রাসী ব্যক্তি,
সত্তা বা সংগঠনের ফেসবুক, স্কাইপ,
টুইটার বা ইন্টারনেটের
যেকোনো মাধ্যমের অপরাধ-
সংশ্লিষ্ট আলাপ-আলোচনা ও
কথাবার্তা অথবা অপরাধ-সংশ্লিষ্ট
স্থির ও ভিডিওচিত্র অপরাধের
সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসেবে আইন
প্রয়োগকারী সংস্থা আদালতে উপ
করতে পারবে এবং তা আদালতে গ্রহ
হবে।
এ আইনের সংজ্ঞায়
কোনো ব্যক্তিকে হত্যা, গুরুতর জখম,
আটক বা অপহরণের জন্য অপর
কোনো ব্যক্তিকে প্ররোচিত করা;
ব্যক্তি, সত্তা বা প্রজাতন্ত্রের
কোনো সম্পত্তির ক্ষতিসাধন
করা বা করার ষড়যন্ত্র করা;
অথবা উদ্দেশ্যসাধনে আগ্নেয়াস্ত্র,
বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থ বহন
বা ব্যবহার করলে তা সন্ত্রাসী কাজ
হিসেবে বিবেচিত হবে। দেশের
অখণ্ডতা, সংহতি,
জননিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব
বিপন্ন করতে কোনো আন্তর্জাতিক
সংস্থাকে কোনো কাজ
করতে প্ররোচিত
করা বা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত
হওয়া সন্ত্রাসী কাজ বলে বিবেচিত
হবে।
যদি কোনো ব্যক্তি বা বিদেশি ন
এ ধারার অধীন কোনো অপরাধ
করেন, তবে তিনি সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড
বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত
এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
২০ ধারার
সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ১৮
ধারা অনুযায়ী কোনো সংগঠন
নিষিদ্ধ হলে সরকার সেই সংগঠনের
কার্যালয় বন্ধ করতে এবং ব্যাংক
হিসাব জব্দ করতে পারবে। নিষিদ্ধ
সংগঠনের
পক্ষে বা সমর্থনে কোনো ধরনের
বিবৃতি, প্রচারণা,
প্রকাশনা বা বক্তৃতা দেওয়া যাবে ন
১৮ ধারা অনুযায়ী সরকার যুক্তিসংগত
কারণের
ভিত্তিতে যেকোনো সংগঠনকে
থাকার দায়ে নিষিদ্ধ
করতে পারবে।
Created at 2015-03-08 19:06:51
Back to posts
UNDER MAINTENANCE
[[1552224025030214]]